টেকনাফে পুলিশের হয়রানির শিকার অসহায় এক পরিবার

প্রকাশঃ মার্চ ৭, ২০২০ সময়ঃ ১:০৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:০৮ অপরাহ্ণ

টেকনাফে পুলিশের হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন এক মৎস্য ব্যবসায়ীর পরিবার। হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গা ঘোনার বাসিন্দা মৎস্য ব্যবসায়ী আলী আকবরের পরিবার এই অভিযোগ করেন। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আরিফুর রহমান মিলে ভুক্তভোগীদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়ে চারজনকে আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে গতকাল কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পরিবারের মৎস্য ব্যবসায়ী আলী আকবর জানান, তিনি পেশায় একজন মৎস্য ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিগত ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ড থেকে এমইউপি নির্বাচন করেন তিনি। আর এই নির্বাচনই তার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, নির্বাচনের পর থেকেই প্রতিপক্ষরা তার পরিবারকে ধ্বংস করতে উঠে পড়ে লাগে। তারা টেকনাফ থানা পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিলে গত ২৬ ফেব্র“য়ারী রাত ১১টার দিকে টেকনাফ থানা পুলিশ ও হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আরিফুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে বাড়ি ঘর আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। এসময় পুলিশ তার ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে সাইমা ইয়াছমিন কাজল, ৬ষ্ট শ্রেণীতে পড়ুয়া আসমাউল হোসনা, ৬ শ্রেণীতে পড়ুয়া ছেলে মোঃ আলমগীর, ২য় শ্রেণীর মোঃ ইব্রাহিম ও ১ম শ্রেণীর মুমতাহিনা আক্তারকে ঘর থেকে বাহির করে অন্য ঘরে আটক রেখে তাদের অকট্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারধর করেন। এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাদের নামেও মামলা দেয়ার ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এরপর তার বৃদ্ধ পিতা আবুল বশর, স্ত্রী আরেফা বেগম ও বাড়িতে বেড়াতে আসা রহমান এবং প্রতিবেশি সেলিনা আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।

তিনি আরো জানান, পূর্বে তার নামে কোন মামলাতো দূরের কথা তার বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও ছিলনা। এরপরও প্রতিপক্ষের সাথে আঁতাত করে তার বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দেয়া হল। এসময় তার স্কুল পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের বই-খাতা, স্কুলের ড্রেসসহ পবিত্র কোরআন শরীফ পর্যন্ত পুড়িয়ে দেয়া হল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ঘটনার দিন দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের হোয়াইক্যং কেরোনতলী ফরেষ্ট অফিসের সামনে থেকে সিএনজিসহ আব্দুর রহমান ও আব্দুল মোনাফ নামে দুইজনকে ইয়াবাসহ আটক করেন হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আরিফুর রহমানসহ তাদের সঙ্গীয় ফোর্স। পরদিন ১৪ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলায় তাকে ১৯ নম্বর আসামী করা হয়। তার বৃদ্ধ পিতা আবুল বশরকে ২ হাজার, স্ত্রী আরেফা বেগমকে ১ হাজার, বাড়িতে বেড়াতে আসা আত্মীয় রহমানকে ২ হাজার এবং প্রতিবেশি সেলিনা আক্তারকে ১ হাজার পিস ইয়াবা দিয়ে মামলা দায়ের করে তাদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়। তাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দিতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G